নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত দেখুন
আজ কে আমরা আলোচনা করবো নিম পাতা নিয়ে,নিম পাতা দিয়ে কী কী উপকারে আসে। নিম পাতা এমন এক ঔষধ যা হাজার বছর ধরে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।এতে মানুষের অনেক উপকার হয়।
এখন আমরা জানবো নিম পাতা খেলে কী কী উপকার পাবো ত্বক ও চুলের জন্য আনেক উপকারী ওষুধ নিম পাতা ব্যবহারে বরুণ ভালো হয়ে যায় এ ছারা ও ত্বক এর বিভিন্ন দাগ দুর করে সীমিত সময়ে
ভুমিকা
আবার এটি চুল পরা ও ভালো করে চুলের খুশকি দুর করে নিম পাতার পানি পান করলে রক্ত পরিষ্কার রাখে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান রক্ত পরিষ্কার করে নিম পাতার ওষুধ খেলে আমাদের৷শরীরের টক্সিন বের করে লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিম এর ক্যাপশন অনেক ভালো কাজ করে
ডায়াবেটিকস কন্ট্রোলের রাখে নিমে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান দাঁত এর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে নিম পাতায় আমাদের হজম শক্তি বাড়ায় মাথায় যে সকল চুলকানি হয় নিম পাতার রস ব্যবহার ফলে অনেক উপকার পাওয়া যায়নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
এলার্জির কি রোগ শুধুমাত্র যার হয়
সেই জানে এলার্জি মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি এলার্জিতে বসে থাকেন অনেক মানুষ। অনেকেই আবার এলার্জি দূর করতে নানা রকম প্রচেষ্টা অনেকেই করে থাকেন কারো এলার্জি দূর হয় আবার কারো হয় না এটি একটি জটিল রোগ এর রোগের জন্য আমাদের বিভিন্ন রকম খাবার বেছে নিয়ে খেতে হয়. না
হলে আমাদের অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিনরাত কাটাতে হয় ভালো ভালো খাবার চোখের সামনে থেকেও খেতে পারি না শুধুমাত্র এলার্জি এর কারণে এই সকল সমস্যা দূর করার জন্য আমরা নিম পাতার ব্যবহার করলে ভালো হবে জেনে যে নিয়মে নিম পাতা বা রস খেলে ভালো হবে এটা হয়তো আপনারাও জেনে থাকতে পারেন কিন্তু জানেন না
কি নিয়মে খেলে এলার্জি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তবে চলুন জেনে যাওয়া যাক নিয়ম গুলো কি কি প্রথমে ১ থেকে দুই কেজির মত নিমপাতা নিন তারপরে ভালো জায়গা মত রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিন তারপরে ভালো করে নিয়ে পরিষ্কার করে পাটাতে ভালো করে পিশে নিন
ভালো পরিমাণ মতো গুরো করতে হবে মিক্সার থাকলে এটাতে ভালো করে হবে আবার যাদের নাই তারা পাটাতে করে নেবেন এবং নিম পাতার গুড়ো গুলো ভালো কোন বাটিতে সংরক্ষণ করে রাখবো যাতে আমরা নিয়মিত খেতে পারি অনেক দিন পর্যন্ত আমরা খেতে পারি
যে নিয়মে বানাবো নিম পাতার শরবত
এক চামচের অর্ধেক নিম পাতার গুঁড়ো একটি গ্লাসে দিব এবং এক চামচ ইসবগুলের ভুষি দিব এবং এক গ্লাস পানি নেব সব নেওয়া হয়ে গেলে আমরা ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখবো তারপরে আমরা চামচ দিয়ে ভালোভাবে মিক্সড করে নেব প্রতিদিন এভাবে সকালে খালি পেটে ও দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে খাবো এই নিয়মে
আমরা প্রায় এক মাস এর মত নিয়মিত খাবো এরপর থেকে আমাদের এলার্জি রোগ থেকে মুক্তি পেতে থাকবো এই নিয়মে আমরা প্রায় খাবো খেলে আমাদের পরবর্তীতে বুঝতে পারবো তাহলে আমাদের আর চোখের সামনে ভালো খাবার থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে না এলার্জি রোগের ভয়ে।
ব্রণ এর জন্য নিম পাতার ব্যবহার
আমরা সবাই চিনে থাকি ব্রণ কি জিনিস। সাধারণত আমরা বেশিরভাগ মানুষ ব্রণ এর শিকার হয় ১১ থেকে ২১ বছর পছন্দ বেশি ব্রণ বের হয়। আর এই দাগগুলো থেকেই যায় মুখে অনেকে অনেক রকম ওষুধ ব্যবহার করে থাকে কিন্তু ঠিক মতন রেজাল্ট পাইনা তাই প্রাকৃতিক নিয়মে নিম পাতার পাতার ফলে কিছু ওষুধ বানিয়ে ব্যবহার করলে আমরা
এই ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।ব্রণ হলে আমরা প্রায় অনেক জায়গাতে যেতে পারি না মুখের অবস্থা অনেকটাই খারাপ থাকে ভালো লাগেনা নিজেকে লজ্জা লাগে অন্য মানুষের সামনে যেতে পারি না তাই জেনে নিন কিভাবে ভালো হয় প্রথমে নিমপাতা আর কাঁচা হলুদ ভালো করে ধুয়ে ব্লেন্ডারে বেটে নিতে হবে পরিষ্কার পাত্রে
৩ চামচ নিমপাতা নিতে হবে ১চামচ কাঁচা হলুদ বাটা এবং পরিমাণ মতো দুধ নিতে হবে এবং জিনিস গুলো ভালোভাবে মিক্সড করে নিতে হবে তৈরি হয়ে গেল আমাদের নিম পাতার ওষুধ।এটা করে আমাদের মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে ২৫ থেকে ৩০মিনিট তারপরে ভালোভাবে হালকা কুসুম কুসুম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে এইভাবে আমরা প্রায় এক মাস এর মত নিয়মিত ব্যবহার করব তাহলে মুক্তি পেতে পারি
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
উজ্জ্বল সুন্দর ও নতুন চুল পেতে নিম পাতার ব্যবহার বেশ উপকারে আসে ভালো হবে নিম পাতার তেল বানিয়ে চুল গুলো ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন খুশকি দূর হয়ে যাবে চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অদ্বিতীয় সপ্তাহে দুই দিন নিম পাতার তেল ভালো করে চুলে লাগিয়ে ৪০ মিনিটের মত রাখুন এর পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন চুল উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং
আরো নতুন চুল গজাবে নিমের তেল আমাদের চুলের জন্য ভীষণই উপকারী নিম তেলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । এছাড়া নিম তেল চুলকে সুন্দর ঘন করতে ভীষণ উপকারী নিম তেল চুলের ph ভারসাম্য ঠিক রাখে
এবং চুলকে ভীষণ মজবুত করে তোলে আপনার মাথার ত্বকে যেকোনো সমস্যাই থাক যেমন উকুন হয়ে যাওয়া খুশকি আছে কিংবা ইনফেকশন হয়ে আছে এই সকল সমস্যা সমাধান করে নিমপাতা তেল । যেভাবে বানাবো আমারা নিম পাতার তেল
নিম পাতা শুধু ব্যবহার করব। তাই আমি নিম পাতা গুলিকে একটা একটা করে নেব এবং তারপরে নিমের পাতা গুলিকে আমি ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে খুব ভালোভাবে গুঁড়ো করে নেব একদম ভালো করে গুরি বানিয়ে নেব এতে
কিন্তু কোন রকম পানি দেওয়া যাবে না শুধু নিমপাতা গুরি থাকবে । নিম পাতাগুলো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে এবং সঠিক সময় এর মধ্যে নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে তারপরে আরো একবার ব্লেন্ড করে নেব তারপর দেখতে পবো দুটো একসাথে মিশে গেছে এবং সবুজ কালার হয়ে গেছে
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে হলে ওপরে সব লেখাগুলো পরে আসুন নিম পাতার ক্ষতিকারক দিকগুলো আমাদের অবশ্যই জানা দরকার না হলে খুব বড় বিপদে পড়তে পারে তবে চলুন জেনে যাওয়া যাক ক্ষতিকারক দিকগুলো কী কী গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ছোট বাচ্চাদের নিম তেলের ব্যবহারে বমি বমি ভাব দুর্বলতা এবং
মস্তিষ্কের ব্যাধি দেখা দিতে পারে এমনকি মৃত্যু ও ঘটে যেতে পারে।সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা থাকলে নীম জাতীয় মিক্সড ওষুধ করিম থেকে দূরে থাকতে হবে কোনো অপারেশন হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে থেকে নিমের ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে । নিম পাতা গ্রহণের পর যদি বমি বমি ডায়রিয়া মাথাব্যথা সমস্যা গুলি হয় সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে নিমের ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে না।
লেখকের মন্তব্য
উপরের লেখাগুলো নিম পাতা দিয়ে কি কি উপকার আসে আবার কি কি ক্ষতি হয় এসব কিছু নিয়ে লেখা হয়েছে আশা করি উপরের লেখাগুলো পড়েছেন আপনারা অনেক কিছু জানতেন আবার নতুন করেও কিছু জানতে পারলেন ।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপনি যদি এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করে রাখতে পারেন।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url